ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভাতে ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৬২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও শত শত ব্যক্তি। সোমবার বিকালে দেশটিতে পাঁচ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে এই প্রাণহানি ও বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ বিভাগ বলছে, সোমবারের ঐ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চিয়ানজুরের ১০ কিমি ভূগর্ভে। মঙ্গলবার উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া বাড়িঘর এবং ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ খুঁজে পেতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিয়ানজুর থেকে ১০০ কিমি দূরে রাজধানী জাকার্তায়ও ভূকম্পন বেশ জোরেই অনুভূত হয়েছে। সেসময় রাজধানীর উঁচু ভবনগুলো থেকে আতংকে মানুষজন ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেক মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
এছাড়া অনেককে হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদিকে কর্মকর্তারা সাবধান করেছেন মূল ভূমিকম্পের পর ছোট ছোট একাধিক ভূকম্পন হতে পারে এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
দেশটির যে অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত করেছে সেখানে জনবসতি বেশ ঘন এবং এলাকাগুলো ভূমিধ্বস-প্রবণ। উদ্ধারকারীরা ধংসস্তুপের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন খুঁজছেন। স্থানীয় বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে, সেসময় একজন নারী ও তার শিশু সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
চিয়ানজুরের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হারমান সুহারমান সাংবাদিকদের বলেছেন, অনেক জায়গা থেকে নতুন নতুন শবদেহ এবং আহত মানুষজন নিয়ে আসা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দুর্গত গ্রামগুলো থেকে আহত-নিহতদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে আসছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে বিধ্বস্ত বহু বাড়িঘর এবং দোকানপাট দেখা গেছে। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর মধ্যে একটি হাসপাতাল এবং একটি আবাসিক মাদ্রাসাও রয়েছে।
রাজধানী জাকার্তায় প্রায় এক মিনিট ধরে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সেসময় বিভিন্ন অফিস ভবন থেকে লোকজন ভয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। ইন্দোনেশিয়া এমনিতেই একটি ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ। ২০১৮ সালেও ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে সুলায়েসি দ্বীপে দুই হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল।