প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

ইরানে বিক্ষোভ অব্যাহত, নিহত বেড়ে ৮৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৩৬:৩৭ | আপডেট: ১ year আগে
ইরানে বিক্ষোভ অব্যাহত, নিহত বেড়ে ৮৩

পুলিশ হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলমান এ বিক্ষোভে এ পর্যন্ত শিশুসহ অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)।

বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইএইচআর মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে দেওয়া পোস্টে নিহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছে। টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, সরকারের কঠোর দমননীতি ও নিহতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা রাজধানী তেহরান, কোম, রাশত, সানান্দাজ, মাসজেদ-ই-সুলেইমানসহ বিভিন্ন শহরে ধর্মীয় শাসকদের পতনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।

যদিও বিক্ষোভকারীদের ‘দাঙ্গাবাজ’ হিসেবে উল্লেখ করে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশিন জানিয়েছে, পুলিশ বিপুলসংখ্যক ‘দাঙ্গাবাজ’কে গ্রেপ্তার করেছে। তবে কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি তারা।

অবশ্য কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট টুইটারে জানিয়েছে, চলমান বিক্ষোভের ঘটনায় অন্তত ২৮ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনী কয়েক ডজন কর্মী, শিক্ষার্থী ও শিল্পীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা ।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর হিজাব না পরার দায়ে ইরানের কুর্দিপ্রধান শহর সাকেজ থেকে মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে ইরানের পুলিশ। তার তিনদিন পর পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বেরবো।

আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে নরওয়ের অসলোতেও। এনআরকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কিছু বিক্ষোভকারী নরওয়ের ইরানি দূতাবাসে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। নরওয়েজিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, এ সময় ৯৫ জনকে আটক করেছে তারা। এ ছাড়া এ ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন।

যদিও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, তার দেশে চলমান বিক্ষোভের পেছনে পশ্চিমা দেশগুলোর ইন্ধন রয়েছে।

২০১৯ সালে পেট্রলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ইরানে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল। তারপর এটিই ইরানের রাস্তায় হওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।