ইরানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন দেশটির প্রধান বিচার ইব্রাহিম রাইসি।
শনিবার প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির মদদপুষ্ট রাইসি ১৭.৭ মিলিয়ন ভোট পেয়েছেন, যেখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫৯ মিলিয়নেরও বেশি।
তবে, খামেনির নিয়ন্ত্রিত একটি প্যানেল রাইসির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার পরেই তার এই নিরঙ্কুশ জয় সম্ভব হয়।
তবে সরকারের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ ইরানিরা ভোট না দেয়ার মাধ্যমে তাদের সহমর্মীতা ও সমর্থন প্রকাশ করেছেন। এর পাশাপাশি ইরানের সাবেক রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এই নির্বচান বয়কটের ডাক দেন।
এদিকে, সরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা না হলেও, রাইসির প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাকে শুভেচ্ছা জানানো শুরু করেছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ইরানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে শনিবার রাত ২টা পর্যন্ত।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিলেন ৭ জন। ৩ জন সরে দাঁড়ানোয় এখন প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। পরবর্তীতে অপর এক প্রার্থীর নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে, তিনজন প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু ইরানে ৫৯ মিলিয়নেরও বেশি ভোটার থাকলেও এই নির্বাচনের তেমন ভোটার অংশগ্রহণ করেনি।