পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান জানিয়েছেন, সরকার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য লাহোরের বাসভবনে নতুন করে অভিযান চালাতে পারে। সোমবার লাহোর হাই কোর্টকে (এলএইচসি) তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন ও জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার শুনানিতে আসা পিটিআই প্রধান আদালতকে তার এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। শুনানির সময় ইমরানের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালমান সফদার আদালতকে বলেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি এসময় আদালতকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া বন্ধের আহ্বান জানান।
সফদার বলেন, সব কিছুর একটা সীমা থাকে, সব মামলাতেই পুলিশ অভিযোগকারী। তিনি এ সময় ওয়াজিরাবাদ এবং জিলে শাহ মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। এই দুই মামলায় অভিযোগকারী হচ্ছে পুলিশ।
এ দিন আদালতে ইমরান খান আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সরকার আইন ভঙ্গ করছে। আমি রক্তপাত বন্ধের চেষ্টা করছি।
গত বছরের এপ্রিলে এক অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। দেশটির ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী যাকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে গদি থেকে হটানো হয়। গদি হারানোর পর একের পর এক বিশাল র্যালি করেন পিটিআই প্রধান। ক্ষমতা থেকে হটানোর পেছনে তিনি বিদেশি শক্তি ও বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারকে দায়ী করেন।
এ ছাড়া সমাবেশগুলোতে তিনি ক্ষমতাসীন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা ও সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের একহাত নেন। বিভিন্ন সময় পুলিশ ও বিচারকদের হুমকিও দেন। এই নিয়ে পাকিস্তানজুড়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে।
গত মাসে তোশাখানা মামলায় আদালতের নির্দেশে ইমরান খানের লাহোরের বাসভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। সেইসময় পুলিশ ও পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। তবে শেষ পর্যন্ত ইমরান খানকে গ্রেপ্তার না করেই পিছু হটে পুলিশ।