স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধের পর বিক্ষোভের জেরে বিষয়টি গড়ায় ভারতের কর্নাটকের হাইকোর্টে। এরপর হাইকোর্টও হিজাবের বিপক্ষে রায় দেয়। হাইকোর্ট বলেন, ‘হিজাব পরা ইসলাম ধর্মবিশ্বাসে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়।’ তার মানে স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধই থাকলো। আর তাই হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। খবর আনন্দবাজারের।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি, হাই কোর্টের দেয়া অন্তর্বর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েক জন আবেদনকারী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি গ্রহণ করতে সম্মত হয়নি। জানায়, হাইকোর্টে মামলাটি চলছে। এ অবস্থায় তাতে হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই।
হিজাব মামলার রায়ে সন্তুষ্ট নন মামলাকারীরা। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন তারা। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই রাজ্যে সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশের একাধিক রাজনীতিবিদ।
হিজাব মুসলিম নারীদের জন্য বাধ্যতামূক ও অবশ্য পালনীয়- এমন নির্দেশনা ইসলামে দেয়া হলেও এর ঠিক বিপরীত অবস্থান নেয় কর্নাটক হাইকোর্ট।
রায়ে হাইকোর্ট বলেন- “হিজাব পরা ইসলাম ধর্মবিশ্বাসে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়’, এ ক্ষেত্রে ভারতীয় সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার রক্ষাকবচ প্রযোজ্য নয়- হিজাব মামলার রায়ে বলে কর্নাটক হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। পাশাপাশি স্কুল পরিচ্ছদের অঙ্গ হিসেবে হিজাব বা অন্য কোনও আবরণ বা উত্তরীয় নিষিদ্ধ করার কর্নাটক সরকারের সিদ্ধান্তকেও পড়ুয়াদের মৌলিক অধিকারের খর্ব হিসেবে দেখছে না হাইকোর্ট। ফলে স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে আসা নিষিদ্ধই রইল।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধেই এ বার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে চলেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।