প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

কপ-২৭: যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেবে বাংলাদেশ

ইউএনবি
২২ অক্টোবর ২০২২ ১৩:১৩:৪৫ | আপডেট: ২ years আগে
কপ-২৭: যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেবে বাংলাদেশ

প্যারিস চুক্তি ও কনভেনশনের অধীনে নির্ধারিত সমষ্টিগত জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতারা আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৭ এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

২৭ তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস বা কপ-২৭ আয়োজন করা হবে জলবায়ুর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে কপ-২৬ এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে।

যে বিষয়গুলো আমলে নেয়া হবে- জরুরিভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা, স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু সংক্রান্ত কাজে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার তহবিল প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করবে।

মিশরের শহর শারম আল-শেখে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য বর্ধিত তহবিলের গুরুত্বও তুলে ধরবে।

প্যারিস চুক্তির অধীনে দেশগুলো প্রতিশ্রুতিগুলোকে কর্মে পরিণত করার মাধ্যমে তারা যে বাস্তবায়নের নতুন যুগে রয়েছে তা কপ-২৭ এ দেখানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ৭ ও ৮ নভেম্বর শারম আল-শেখ জলবায়ু বাস্তবায়ন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং ১৫ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকভাবে মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগামী মাসে শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনের পূর্বে ক্ষয়ক্ষতির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি নিরাপত্তা সমস্যা এবং এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) নিয়মিত বিরতিতে আলোচনা করা উচিত।

বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ একটি সাহসী কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়।

বাংলাদেশ এর জলবায়ু দুর্বলতা থেকে স্থিতিস্থাপকতা এবং জলবায়ু সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করার লক্ষ্যে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ চালু করেছে। সরকার এটিকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী নীতিগত নির্দেশিকা হিসেবে দেখছে।