প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

কলকাতায় কুয়েতি নারী নিখোঁজ, বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫০:২১ | আপডেট: ১ year আগে
কলকাতায় কুয়েতি নারী নিখোঁজ, বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার
(সংগৃহীত ছবি)

চিকিৎসা নিতে ভারতে এসেছিলেন কুয়েতের ৩১ বছরের এক নারী। গত মাসে তিনি কলকাতা থেকে নিখোঁজ হন। পরে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। ভারতীয় পুলিশকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। নিখোঁজের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের পর কলকাতা পুলিশ কুয়েতি দূতাবাসকে অবহিত করে। জানানো হয় যে, একজন পুরুষসহ ওই যুবতী আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করেছেন বাংলাদেশে।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, অবহিত হওয়ার পর বাংলাদেশের কাছে সহায়তা চায় ভারতে থাকা কুয়েতি দূতাবাস। ফলে সোমবার একটি বাসায় পাওয়া যায় ওই যুবতীকে। পুলিশ তাকে কুয়েত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে।

রিপোর্টে বলা হয়, ২০শে জানুয়ারি তিনি ছোটভাইকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা আসেন। কলকাতার পূর্বাঞ্চলে একটি ৫ তারকা হোটেলে অবস্থান করছিলেন তারা।

ত্বকের সমস্যায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এর ফাঁকে কলকাতার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখার পর তিনি ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ২৭শে জানুয়ারি আলিপুর চিড়িয়াখানা দেখতে যান। সেখান থেকে নিখোঁজ হন ওই যুবতী। ফলে তার ভাই আলিপুর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ জানান।

ওদিকে তার বোনের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের সিম ছিল কুয়েতি। ফলে তাকে কোনোভাবে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। তারা এক পর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। পুলিশের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, তিনি একটি হলুদ ট্যাক্সিতে উঠছেন একজন পুরুষের সঙ্গে। ওই পুরুষের পরনে ছিল একটি স্যুট, মাথায় ছিল ক্যাপ। মুখে ছিল মাস্ক। এ জন্য তাকে শনাক্ত করা ছিল খুব কঠিন। তবে আমরা ওই ট্যাক্সির চালককে শনাক্ত করতে পারি। তার কাছ থেকে জানতে পারি, তারা মারকুইস স্ট্রিটে নেমে গেছেন। সেখান থেকে তারা আরেকটি ট্যাক্সি নেন এবং পাশের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ সীমান্তের কাছ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ভারত সীমান্তের ভিতর আর কোথাও তাদেরকে দেখা যায়নি। বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে শত শত সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যানিং করে, আমরা একজন পুরুষের ছবি পাই। সম্ভবত তিনি বাংলাদেশি একজন নাগরিক।

তার বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারি করা হয়। সূত্রদের সঙ্গে কথা বলেন আলিপুর পুলিশ স্টেশন এবং এন্টি-রাউডি সেকশন অব কলকাতা পুলিশের স্টাফরা। পরিষ্কার হয়ে যায়, ওই যুবতী এবং পুরুষটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করেছে। তারা এ অবস্থায় নয়া দিল্লিতে কুয়েতি দূতাবাসকে বিষয়টি অবহিত করেন। এমন ভূমিকা নিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধারে সহায়তা করার জন্য কলকাতা পুলিশের প্রশংসা জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কুয়েতি দূতাবাস। তবে ওই পুরুষের কি হয়েছে, তিনি কি ওই যুবতীর প্রেমিক কিনা, ওই যুবতীকে বাংলাদেশের কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে- এর কিছুই জানা যায়নি।