আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া আত্মঘাতী হামলার পর সেখান থেকে বিদেশি সৈন্যসহ আফগানদের উদ্ধার কাজ আবার শুরু হয়েছে। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে আবারও ফ্লাইটগুলো চালু করা হয়েছে।
এদিকে উদ্ধারকাজ পুনরায় শুরু হলেও বিদেশি সৈন্যদের চলে যাওয়ার সময়সীমার আগে আবারও হামলা হতে পারে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিতে মার্কিন সেনাসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নেয় তালেবান। এরপর থেকেই দেশ ছেড়ে পালাতে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হতে থাকে হাজার হাজার মানুষ।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার এয়ারপোর্টে জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এ হামলায় কমপক্ষে ৯৫ আফগান নাগরিক ও ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আফগান কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এজন্য মর্গের ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
বিমানবন্দরে কর্মরত এক কর্মকর্তা বলেছেন, নিহতের সংখ্যা ১৬৯ জন হতে পারে।
আফগান ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১১ সালের আগস্টের পর আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর জন্য সবচেয়ে মারাত্মক দিন ছিল এটি।
এদিকে জোড়া আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের আফগানিস্তান সহযোগী সংগঠনকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যারা তালেবান যোদ্ধাদের চেয়ে অনেক বেশি মৌলবাদী।