ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে রবিবার সন্ধ্যায় ঝুলন্ত সেতু ভেঙে অন্তত ১৪১ জন নিহত হয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাটের মোরবি জেলায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
গুজরাটের একজন মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৪০ বছরের পুরনো সেতুটি গত সপ্তাহে সংস্কার হয়েছে। আমরাও হতবাক। সরকার এই ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী’
নাগরিক সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ঔপনিবেশিক আমলের সাসপেনশন সেতুটি মেরামতের জন্য ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল। মাত্র চার দিন আগে ২৬ অক্টোবর ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই পুনরায় জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।
তবে সংস্কারের ৫ দিনের মাথায় কীভাবে এতোবড় দুর্ঘটনা ঘটল বা ওই বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে উঠে পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মোরবি পৌরসভার প্রধান কর্মকর্তা সন্দীপসিংহ জালা বলেন, ‘সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পর কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।’
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, শত শত মানুষ মোরবি জেলায় ওই ব্রিজে উঠে পড়েছে। শুধু তাই নয় কেউ সেই ব্রিজে উঠে লাফাচ্ছেন, কেউ মারছেন রেলিংয়ে লাথি।
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা দাবি করছে, ভিডিওর ঘটনাটি শনিবারের। ঐদিন এসব ছবি এবং ভিডিও ধরা পড়েছিল সেতুটিতে। সেখানে সেদিন প্রায় শ’খানেক মানুষের ভিড় ছিল।
এ ঘটনার ঠিক একদিন পরেই মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটলো।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য সেতুটিতে ৫০০ জনেরও বেশি লোক ভিড় করেছিল। রাজ্য সরকার ট্র্যাজেডির দায় স্বীকার করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিম ঘোষণা করেছে।