যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। এর মধ্যে একই পরিবারের চার শিশুসহ ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। তাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর বিবিসি’র।
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ এখনো শতাধিক নিখোঁজ রয়েছেন। এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১২ হাজারের বেশি বাসিন্দা।
কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড এবার এ অঞ্চলে। এবারের বন্যার পানিতে শত শত বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ডুবে গেছে। সড়ক, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষতি মেরামতে কয়েক লাখ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েঠে বলে সোমবার কেন্টাকির গভর্নর জানান।
এ দিকে, বন্যাকবলিত এলাকায় লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দুটি বিধ্বস্ত কাউন্টিতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- জবলপুরের হাসপাতালে আগুন, নিহত ১০
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বন্যা পরিস্থিতিকে ‘বড় বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করেছেন এবং ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান ডিয়েন ক্রিসওয়েলকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো দেখে আসার পর বেসিয়ার জানান, শত শত বাড়ি, খেলার মাঠ, পার্ক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানির নিচে ডুবে আছে। পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতে পারে, আমার ধারণাতেও ছিল না। আমাদের মধ্যে এরকম কেউ দেখেছেন বলে আমার মনে হয় না।
খাড়া পাহাড় এবং সংকীর্ণ উপত্যকার কারণে কেন্টাকিতে বৃষ্টির সময় পাহাড়ি ঢল নতুন নয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে এর তীব্রতা বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।