খাদের কিনারায় রয়েছেন পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের কারণে দেশটিতে সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক সংকট।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি থেকে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য বেরিয়ে গেছেন, এতে তিনি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন- এমনটা দাবি করে মার্চ মাসের শুরুর দিকে বিরোধীদলগুলোর একটি জোট তার প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনে।
আগামী ২৫ মার্চ পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবটির ওপর ভোট হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটিই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জন্য সবচেয়ে কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষা হয়ে উঠতে পারে।
এ অবস্থায় নিজের প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে ইমরান খান তার দলত্যাগী এমপিদের পার্টিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ফিরে এলে তাদের ক্ষমা করে দেয়া হবে, যেভাবে একজন পিতা তার সন্তানদের ক্ষমা করে দেন।
বিরোধীদল অভিযোগ করছ যে মি. খান অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছেন। অবশ্য তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নিয়ম অনুযায়ী, পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে হলে ইমরান খানকে অন্তত ১৭২ জন এমপির সমর্থন পেতে হবে। এর মধ্যে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের আসন সংখ্যা ১৫৫, তার সাথে আরো আছে তার কোয়ালিশন অংশীদারদের সমর্থন।
অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগসহ পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলোর মোট আসন সংখ্যা হচ্ছে ১৬৩।
পাকিস্তানের ইতিহাসে এ পর্যন্ত কোন প্রধানমন্ত্রীই তার মেয়াদ পুরো করতে পারেননি। ইমরান খানের ভাগ্যেও কি তাই ঘটছে, এ প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে।