ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে ১০৯ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে ২৮ শিশু ও অন্তত জন ১১ নারী রয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সালে দুই দেশের সংঘর্ষে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, এখনও থেমে থেমে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ চালাচ্ছে হামাস ও ইসরায়েল। অন্যদিকে লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়ার দাবি করেছে তেল-আবিব।
গত সোমবার থেকে ফিলিস্তিনকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ৫৮০ জন আহত হয়েছেন এ ঘটনায়। ফিলিস্তিনে করোনা পরিস্থিতি বেসামাল, এই অবস্থায় হামলায় আহত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে দেশটির হাসপাতাল, চিকিৎসক ও নার্সরা।
আজ-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হামাস গাজা থেকে রকেট ছোড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলও বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইহুদি রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাদের বাহিনী গাজায় প্রায় এক হাজার লক্ষ্যবস্তুতে ইতিমধ্যে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে সাতজন নিহত হয়েছেন হামাসের রকেট হামলায়। অন্যদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার গাজা সীমান্তে দুটি পদাতিক ও একটি সাঁজোয়া ইউনিট মোতায়েন করে ইসরায়েল। পাশাপাশি আরও সাত হাজার সেনাকে প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে তিনটি রকেট ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রকেটগুলো ভূমধ্যসাগরে পতিত হওয়ায় তাদের কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছেন, ওই রকেটগুলো সেখানকার উপকূলীয় কেলাইলেহ অঞ্চল থেকে ছোড়া হয়েছে।
২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সাত সপ্তাহের যুদ্ধের পর এবারই সবচেয়ে বড় ধরনের সংঘাত হচ্ছে।