গত এপ্রিলে ইরানের তেলবাহি রাশিয়ার একটি তেল ট্যাংকার আটক করে গ্রিস। শুধু তাই নয়, ট্যাংকারে থাকা ১ লাখ ১৫ হাজার টন তেল জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর প্রক্রিয়াও সম্পন্ন। এতেই ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে ইরান। তখন ইরান বলেছিল, গ্রিসকে এর জন্য শাস্তি দেয়া হবে। তাই করলো দেশটি। এক মাসের মাথায় একটি ট্যাংকারের বিপরীতে গ্রিসের ২টি তেলের ট্যাংকার আটক করলো ইরান। খবর আলজাজিরার।
শুক্রবার আরব উপসাগর থেকে ট্যাংকার দু’টি আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি বাহিনী।
ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, গ্রিস উপকূলে আটকে রাখা ইরানের তেলবাহী ট্যাংকার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক তেল বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে গ্রিসের বিরুদ্ধে “শাস্তিমূলক ব্যবস্থা” নেবে বলে সতর্ক করার পরপরই ব্যবস্থা নিলো ইরান।
এদিকে ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়, মার্কিন বিচার বিভাগের অনুরোধে আটক রাশিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকার থেকে ইরানের তেল যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবে গ্রিস, গ্রিসের বন্দর পুলিশ বুধবার বলেছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে ইরান ক্ষুব্ধ হয়েছে।
ইরানের তেলবাহী ট্যাংকারটি তুরস্কের মারমারা টার্মিনালে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।
জাহাজটির ক্রুসহ অন্যদের আটক করে রাখা হয়। গ্রিস কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, জাহাজটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘লানা’।
ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা অনুসারে কর্তৃপক্ষ জাহাজটি আটক করে।
তথ্য অনুযায়ী, ট্যাঙ্কারটিতে ১ লাখ ১৫ হাজার টন ইরানি তেল ছিল।
এদিকে, আরব উপসাগরে দুটি গ্রিক তেল ট্যাংকার আটক করার বিষয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড শুক্রবার তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতিতে বলেছে, ট্যাংকার দু’টি “লঙ্ঘন করেছে”। তবে কী “লঙ্ঘন” তার ব্যাখ্যা দেয়নি।
এদিকে, ২ ট্যাংকার আটকের পর ইরানকে “জলদস্যুতার” অভিযুক্ত করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গ্রিস।
গ্রিস বলছে, “এ পদক্ষেপ জলদস্যুতার কাজের শামিল।”
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্রিক নাগরিকদের ইরান ভ্রমণ এড়াতে সতর্ক এবং এটি “হিংসাত্মক” দখলের বিরুদ্ধে এথেন্সে ইরানের রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
গত এপ্রিলে গ্রিসে আটক করা রাশিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকার ইরানের তেলের পণ্যবাহী জাহাজের ভাগ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধের মধ্যে এ পদক্ষেপ নিলো ইরান।