ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সামরিক জান্তা শাসিত দেশটির একটি আদালত।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৭ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী এই রাজনীতিক বরাবরই সামরিক শাসনের বিরোধিতাকারী একজন ব্যক্তিত্ব। গত বছরের শুরুর দিকে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাকে আটক করে দুর্নীতি থেকে নির্বাচনে জালিয়াতি পর্যন্ত কমপক্ষে ১৮টি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সবগুলো মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সে ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রায় ১৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে।
রাজধানী নেইপিদোর রুদ্ধদ্বার আদালতে সু চির বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে। তবে বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সু চি।
রয়টার্স বলছে, সু চি দুটি অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন এবং এই সাজা একই সঙ্গে ভোগ করবেন তিনি।
গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানের পর সু চিসহ তার বেশ কয়েকজন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, রাজনীতিক, আইনপ্রণেতা, কূটনীতিক ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করে জান্তা সরকার। এরপর সু চির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে মামলা করে সামরিক সরকার।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী এই নেত্রী। বেশির ভাগ মামলা ছিল দুর্নীতির। তবে তার বিরুদ্ধে সব মামলার অভিযোগ প্রত্যাখান করে আসছেন সু চি।