গত কয়েক মাস ধরেই সৌদি আরবসহ পার্শ্ববর্তী ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও কুয়েতে বালুঝড় আঘাত হানছে। এ ঝড়ে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শ্বাসকষ্টের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে হাজারের বেশি মানুষকে। বন্ধ রয়েছে বিমান চলাচলসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
চলমান এ পরিস্থিতিতে ফের সৌদি আরবের রিয়াদে বালুঝড় হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। খবর আরব নিউজের।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটিওরোলজি সৌদি বলেছে, মদিনা অঞ্চল এবং ইয়ানবু, আল-রাইস এবং ইয়ানবু আল-নাখল গভর্নরেট পর্যন্ত এ ঝড় বিস্তৃত হতে পারে। এছাড়া, আলুলা ও খায়বারেও ধূলিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি মাসে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ সৌদি আরবের হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি হয়েছে। তবে ঘটনাটি শুধু সৌদি আরবের নয়, পুরো অঞ্চলেরই বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলো।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত একমাস ধরে ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং কুয়েতের কিছু অংশে বালুঝড় বইছে। ঝড়ের কারণে হাজার হাজার মানুষকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইরাকে একজন এবং পূর্ব সিরিয়ায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
সাধারণত বালু ঝড় বসন্তের শেষ দিকে এবং গ্রীষ্মে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে হয়ে থাকে। কিন্তু এই বছর ইরাকে প্রায় প্রতি সপ্তাহে ঘটেছে৷
ইরাকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অক্সিজেনের ক্যানিস্টারগুলো কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্থাপনাগুলোতে মজুত করেছে।
সিরিয়ায়, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দেইর ইজোরে বালু ঝড় আঘাত হানায় স্বাস্থ্য বিভাগকে সতর্ক করা হয়েছে।
ইরান গত সপ্তাহে বালু ঝড়ের কারণে তেহরানে স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এটি খুজেস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম মরুভূমি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আঘাত হানে, যেখানে ৪০০ জনেরও বেশি লোক শ্বাসকষ্টজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পশ্চিম ইরান থেকে কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
এ মাসে দ্বিতীয়বারের মতো কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধুলোর কারণে সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
বাগদাদের আল-কাদিসিয়াহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-প্রত্নতাত্ত্বিক জাফর জোথেরি বলেন, “এটি একটি অঞ্চল-ব্যাপী সমস্যা”