চলতি মাসে ইউক্রেন বাহিনী ঝটিকা অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রায় ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটার (২ হাজার ৩২০ বর্গ মাইল) এলাকা পুনঃদখল করেছে বলে জনিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিদমির জেলেনস্কি। খবর আল জাজিরার।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রুশবিষয়ক বিশেষজ্ঞ নিকোলাই মিক্রেখিন বলেছেন, ‘চার দিনের মধ্যে ইউক্রেন রুশ সেনাবাহিনীর চার মাসের সফলতা মুছে দিয়েছে। আর এতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
এর মধ্যে রুশ সীমান্তের পশ্চিমে এবং বিচ্ছিন্ন লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের উত্তরে ইউক্রেনের সাফল্য লাভের গতি ও সাবলীলতা নিয়ে প্রশ্নও ওঠেছে। রুশরা তাদের কোনো গোলন্দাজ বা সাজোয়া যান পেছনে ফেলে যায়নি। অত্যন্ত দুর্ভেদ্য এলাকা থেকে তাদের পিছু হটা ব্যাপক যুদ্ধের পর আতঙ্কিত বাহিনীর পশ্চাদপসরণের মতোও হয়নি বলে ইউক্রেনের সামরিক প্রতিবেদন ও ওই এলাকার ভিডিওচিত্রগুলোতে দেখা গেছে।
মিক্রেখিনের মতে, ক্রেমলিন পরিকল্পিতভাবেই এই পিছু হটেছে এবং তাদের জনশক্তি ও অস্ত্রসম্ভার বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে। একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে আসা নির্দেশেই সম্ভবত রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা এই বাহিনীকে দনেটস্ক ও সম্ভবত লুহানস্ক সীমান্তে ব্যবহার করবে।
বিশেষজ্ঞরা এমনটি মনে করছেন, রুশ বাহিনী ছিল খুবই দুর্বলভাবে প্রশিক্ষিত। তাদের কোনো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিল না। বেসামরিক লোকজনের মধ্য থেকে এই বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। তারা এ কারণে জীবনের ঝুঁকি নিতে চায়নি। রুশ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইউরি ফিয়োডোরভ নভায়া গাজেটা ডেইলিতে এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে, জেলেনস্কি সোমবার তার দৈনন্দিন বক্তৃতায় বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে আমাদের সৈন্যরা ইতোমধ্যেই পূর্ব ও দক্ষিণে ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটার ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড মুক্ত করেছে। আমরা এখন আরও এগিয়ে যাচ্ছি।’