এবার চাল রপ্তানির লাগাম টানার বিষয়ে ভাবছে ভারত। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সহজলভ্যতা নিশ্চিত ও দাম বাড়ানো ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
এর আগে, ভারতের গম এবং চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ববাজারে টালমাটাল অবস্থা তৈরি করে। বিশ্বব্যাপী এই দুই খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গম ও চিনির রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পর ভারতের পরবর্তী খাদ্য সুরক্ষামূলক পদক্ষেপের লক্ষ্য হতে পারে চাল। আর ভারত এমন পদক্ষেপে বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তার ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতীয় দৈনিক ইকোনমিক টাইমসও জানিয়েছে, সরকার দেশের বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত এবং দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে চাল রফতানি সীমিত করার কথা বিবেচনা করতে পারে। মূল্যবৃদ্ধির কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গম এবং ভুট্টার দাম যখন আকাশচুম্বী তখন বিশ্বের শীর্ষ রপ্তানিকারক এই দেশটি চালের ক্ষেত্রে একই ধরনের পদক্ষেপ নিলে তা বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব পড়বে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি তৈরি হবে। অভুক্ত থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়বে।
ইয়েস ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ রাধিকা পিপলানি বলেছেন, চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ ধরনের সব পদক্ষেপ খাদ্যের দাম কমিয়ে দেবে কি না এবং কতদিন পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে এখন সেটিই দেখার বিষয়।
তবে এ বিষয়ে ভারতের খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।