সারা বিশ্বে প্রায়শ প্রাদুর্ভাব হওয়া মশা-বাহিত ভাইরাস চিকুনগুনিয়ার বিরুদ্ধে ফরাসি-অস্ট্রিয়ান ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ভালনেভার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন নতুন ব্যাপক আকারের পরীক্ষায় আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখিয়েছে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ কথা বলা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভালনেভার ফলাফলগুলোকে চিকুনগুনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুসংবাদ হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। ভাইরাসটির অত্যন্ত বিরল উপস্থিতি থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোকদের ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে ভাইরাসটির জন্য কোন ভ্যাকসিন বা চিকিৎসার সুযোগ নেই। ভাইরাসটি খুব কমই মারণঘাতি। তবে এতে আক্রান্ত লোকদের জ্বর হয় এবং কখনও কখনও অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়।
ভালনেভা বলেছে, কোম্পানির ভিএলএ১৫৫৩ নামের ভ্যাকসিনটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় অনুমোদনের জন্য আবেদন করার পর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনা করেছে।
র্যান্ডোমাইজড প্লেসবো কন্ট্রোল ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলস (আরসিটিএস) তৃতীয় পর্যায়ে ভাইরাসের দুর্বল রূপটি ব্যবহার করে ইমিঊন সিস্টেম সক্রিয় করাই ছিল এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলের লক্ষ্য।
দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, ২৬৬ জনের একটি উপগোষ্ঠী ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাদের ২৬৩ জন অর্থাৎ ৯৯ শতাংশের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা চিকুনগুনিয়া ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারে।
৪ হাজার ১০০ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর একটি বিস্তৃত ট্রায়ালে ভ্যাকসিনটিকে মোটামুটিভাবে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতো।