চীনে ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজন যাত্রীকেও জীবিত কিংবা মৃত পায়নি উদ্ধারকারী দল। তাদের ধারণা, আগুনের তীব্রতা এতোটাই ছিল যে, যাত্রী কিংবা তাদের জিনিসপত্র “সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে”। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
সোমবার বিকেলে দক্ষিণ গুয়াংজিতে একটি বনাঞ্চলের পাহাড়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এরপর আগুন ধরে যায়।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়, উদ্ধারকারী দল চীনের পূর্বাঞ্চলীয় বিমানের বিক্ষিপ্ত ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধান করছে। কিন্তু সেখানে কোনো যাত্রী কিংবা কাউকেই পাননি তারা।
এটি দেশটির এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি জানিয়েছে, “বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত বিমানটিতে থাকা ব্যক্তিদের কারোরই অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।”
ফ্লাইটরাডার২৪ডটকমের তথ্য অনুসারে, বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ফ্লাইট ৫৭৩৫, বিমানটি ৮ হাজার ৮৪০ মিটার উপর দিয়ে উড়ছিল।
ঘটনাস্থলের কাছে উদ্ধারকারী যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি জরুরি পাওয়ার সাপ্লাই ট্রাকসহ অপারেশনের একটি কেন্দ্র স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে দুর্ঘটনা এবং এর ফলে আগুনের চিহ্ন দেখা গেছে।
উদ্ধারকর্মীরা বলেছেন, তাদের ধারণা আগুনের তীব্রতার কারণে যাত্রী এবং তাদের জিনিসপত্র “সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে”।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুর্ঘটনার তদন্ত এবং সম্পূর্ণ বেসামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।