সামরিক খাতে চীনের বড় বিনিয়োগের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ন্যাটো জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেন, বেইজিংয়ের এই পদক্ষেপ আমাদের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকিস্বরূপ।
একটি সংবাদ সম্মেলনে স্টল্টেনবার্গ বলেন, ‘আমাদের সামরিক জোট (ন্যাটো) চীনকে প্রতিপক্ষ হিসাবে বিবেচনা করে না, তবে অবশ্যই চীনের উত্থান আমাদের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকিস্বরূপ।’
তিনি বলেন, ‘চীন পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, চীন এমন একটি দেশ যা আমাদের মূল্যবোধগুলোর তোয়াক্কা করে না। আমরা দেখেছি তারা হংকংয়ে গণতান্ত্রিক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে কেমন আচরণ করেছে, কীভাবে তারা তাদের দেশে সংখ্যালঘু উইঘুরদের দমন করে এবং কীভাবে তারা আন্তর্জাতিক আইনকে আদেশকে অমান্য করে।’
বিশ্বজুড়ে কয়েকটি দেশের ওপর দমনমূলক আচরণ করে চলছে চীন। এই সংকট সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এই মাসের শুরু দিকে আহ্বান জানায় স্টলটেনবার্গ।
চীনের আচরণ ‘আইনের শাসনের বিরোধী’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন স্টলটেনবার্গ। এর পাশাপাশি তিনি ‘জোট পুনর্গঠন এবং ন্যাটো শক্তিশালীকরণ’ সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
দ্য সিঙ্গাপুর পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ টি ইউরোপীয় এবং উত্তর আমেরিকার দেশ নিয়ে গঠিত ন্যাটো একটি সামরিক জোট। এই জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা তাদের পর্যাপ্ত অর্থ প্রদান করছে না এমন অভিযোগে কয়েকবার উত্তর আমেরিকার দেশগুলো এই জোট থেকে বের হয়ে যেতে চায়।
এই প্রসঙ্গে ন্যাটো প্রধান বলেন, ইউরোপ যথেষ্ট বড় নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এত বড় নয়। তবে ব্রাসেলস এবং ওয়াশিংটন একসাথে বিশ্বের জিডিপির ৫০ শতাংশ এবং বিশ্বের সামরিক বাজারের ৫০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘যদি আপনি চিনের উত্থান, চিনের সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হন, তবে ন্যাটোত জোটে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর একসঙ্গে দাঁড়ানোর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।’
গত ডিসেম্বর মাসে ‘ন্যাটো ২০৩০ - ইউনাইটেড ফর দ্য নিউ এরা’ প্রতিবেদনে এটি বলা হয়, চীন দ্বারা উৎপন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ন্যাটো জোটের আরও বেশি সময়, রাজনৈতিক সম্পদ এবং পদক্ষেপের প্রয়োজন।