ইউক্রেনের চেরনোবিলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দখলে নিয়েছে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রক্ষা করার জন্য ইউক্রেনের জাতীয় রক্ষীদের সাথে লড়াইয়ের পর রাশিয়ান বাহিনী এটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
চেরনোবিল এক্সক্লুশন জোন, ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এটি ২ হাজার ৬০০ বর্গ-কিলোমিটার (১ ০০০-বর্গ-মাইল) জঙ্গলের আশেপাশের এলাকা, যা বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্ত এবং ইউক্রেনের রাজধানীর মধ্যে অবস্থিত।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় অফিসাররা এটিকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছিল, যাতে ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি না হয়। তিনি এটিকে ‘পুরো ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে অভিহিত করেছেন।
উপদেষ্টা পোদোলিয়াক বলেন, একদম অর্থহীন আক্রমণের পরে এটা বলা অসম্ভব যে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরাপদ আছে কি না।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্থন হেরাশেঙ্কো সতর্ক করেছেন যে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে যেকোনো আক্রমণ ইউক্রেন, বেলারুশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের পরিস্থিতি ‘গভীর উদ্বেগের সাথে’ পর্যবেক্ষণ করছে এবং ইউক্রেনের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ এড়াতে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।