ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভাতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৬৮ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সেই সাথে ভূমিকম্পের ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বুধবার খাদ্য ও খাবার পানি সরবরাহের আবেদন জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
মঙ্গলবার উদ্ধারকারীরা ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া বাড়িঘর এবং ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ খুঁজে পেতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বুধবার আরও উদ্ধারকারী ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার বিকালে দেশটিতে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে এই প্রাণহানি ও বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকারী দল আরও ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শহর সিয়াঞ্জুরে পৌঁছেছে। সোমবার বিকালের ভূমিকম্পে আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসে। যাদের অনেকে রক্তাক্ত ও ধ্বংসাবশেষে আহত ছিল।
এর আগে পুলিশ, উদ্ধারকারী দল, স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হলেও বুধবার এই যাত্রায় ১২ হাজারেরও বেশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের যুক্ত করা হয় উদ্ধার কাজ দ্রুত করার জন্য।
ভূমিকম্পের পরবর্তী ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, সেতু এবং বিদ্যুতের ব্ল্যাকআউট এবং ভারী যন্ত্রপাতির অভাবের কারণে ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারীদের কাজে বিঘ্ন ঘটে। ভূমিধসের কারণে রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ হয়ে যায় এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং গাড়িচালককে চাপা দেয়।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা আগামী সপ্তাহগুলোতে দেশে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে। বৃষ্টিপাত শুরুর আগেই পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর শহরের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসের ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে ফেলা প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষ এমন সতর্ক করে দেয়ার পর এ সহায়তার আবেদন জানানো হলো। আর এটি হচ্ছে দ্বিতীয় এক দুর্যোগের হুমকি।
ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়ার দুই দিন পর বাসিন্দারা পারিবারিক ছবি, ধর্মীয় বই ও বিয়ের সনদসহ অমূল্য বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করার চেষ্টা করছে।
গাসল গ্রামের ২৩ বছর বয়সী বাসিন্দা মুস্তাফা এএফপি’কে বলেন, ‘ইতোমধ্যে কিছু খাদ্য সামগ্রি আমাদের গ্রামে পৌঁছেছে। তবে তা যথেষ্ট নয়। আমরা চাল, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, খাবার পানি পেলেও তা পরিমাণের দিক থেকে যথেষ্ট নয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আরো খাদ্য সরবরাহের আবেদন জানাচ্ছি।’