চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পশ্চিম ইউরোপে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় পশ্চিম জার্মানি ও বেলজিয়ামের বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ১২৫ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ।
শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তারা জানান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জার্মানিতে নিহতদের বেশিরভাগই দেশটির নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া ও রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের বাসিন্দা। রাজ্য দুটির অনেক শহর ও গ্রাম বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এখানকার অনেক বাসিন্দা ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন গভর্নর আর্মিন লাশেট।
রাইনল্যান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিনজিগ শহরে আকস্মিক বন্যায় প্রতিবন্ধীদের আশ্রয়কেন্দ্রের ১২ জনসহ ৬০ জন মারা গেছেন।
প্রতিবেশী রাজ্য উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখানে বন্যায় ৪৩ জন মারা গেছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও তারা সতর্ক করেছেন।
এদিকে বিধ্বংসী বন্যার ছোবলে বেলজিয়ামের অনেক ঘরবাড়ি খরস্রোতা নদীতে ভেসে গেছে এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার ভিআরটি নেটওয়ার্ককে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেলিস ভারলিন্ডেন বলেছেন, এখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে কর্মকতারা নিশ্চিত করেছেন। নিখোঁজের সংখ্যা কমপক্ষে ১৯ জন।
তিনি আরও জানান, বেলজিয়াম থেকে নেদারল্যান্ডসে প্রবাহিত মিউস নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে বেশ কয়েকটি বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।