পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সূচি অনুযায়ী, চলতি বছরের ৮ অক্টোবর পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা দেশটিতে। বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনের দিন এগিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন; কিন্তু তার সেই দাবিতে কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি উল্টো বলেছেন, তহবিলের অভাবে এমনকি এ বছর নির্বাচন করা পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খবর এনডিটিভির।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের ব্যাপক সমালোচনাও করেছেন খাজা আসিফ। জবাবে ইমরান খান বলেছেন, নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সংবিধানবিরোধী এবং পাকিস্তানে বর্তমানে প্রতারকদের শাসন চলছে।
রাজধানী ইসলামাবাদে কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবের সঙ্গে শুক্রবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে খাজা আসিফ বলেন, ‘চলতি বছর নির্বাচন হবে কিনা, তা পুরোপুরি অনিশ্চিত। কারণ নির্বাচনের আয়োজন করার মতো তহবিল এই মুহূর্তে সরকারের হাতে নেই। তহবিল হাতে না আসা পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব হবে না।’
ইমরান খানের সমালোচনা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে পাকিস্তানের একটি বড় সমস্যার নাম ইমরান খান। তাকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা চলছে বলে যে অভিযোগ তিনি করেছিলেন, তা ছিল মিথ্যা। ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি সাবেক সেনাপ্রধান কামার আহমেদ বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন, (ক্ষমতা হারানোর পর) এখন তাকেই দোষারোপ করছেন। এমনকি তিনি এও বলেছেন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল।’
তিনি আরও বলেন,‘ সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছিল। কিন্তু পাঞ্জাব, সিন্ধ প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার বিলোপের ক্ষেত্রে তিনি অগণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। এ ছাড়া ক্ষমতায় থাকাকালে বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের ব্যাপক দমনপীড়নও করেছেন তিনি।’
আসিফ বলেন, ‘পিটিআই সরকারের তিন বছরের শাসনামলের গোটা সময় আমাকে জেলে কাটাতে হয়েছে। আমাদের নেতৃত্বকেও (নওয়াজ শরিফ-শেহবাজ শরিফ) মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন তিনি।’