ভোগ্যপণ্যের ক্রমবর্ধমান দামে লাগাম টানতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুদের হার বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। খবর বিবিসি’র।
বৃহস্পতিবার বিবিসি জানায়, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ঘোষণা দিয়েছে।
দ্য ফেডারেল রিজার্ভ বলেছে, এবার মূল সুদের হার শতকরা তিন-চতুর্থাংশ বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হবে।
বিবিসি বলছে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যাওয়ার পর মার্চের পর এটি তৃতীয় বারের মতো বৃদ্ধি। এ ছাড়া অপ্রত্যাশিত এ মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এক বৈঠকের পর মার্কিন কর্মকর্তারা আশা করছেন- ফেডারেল ব্যাংকগুলো যে হারে ঋণ নেয়, তা বছরের শেষ নাগাদ ৩ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো একই রকম পদক্ষেপ নেয়ায় এটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বিশাল পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে, যেখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কিছু কোম্পানি বছরের পর বছর কম ঋণের খরচ উপভোগ করেছে।
পরামর্শক সংস্থা ইওয়াই-পার্থেন-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ গ্রেগরি ড্যাকো বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অর্থনীতির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং কিছু উদীয়মান বাজারের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের নীতি কঠোর করছে। এটি এমন একটি বৈশ্বিক পরিবেশ, যা আমরা গত কয়েক দশকে অভ্যস্ত ছিলাম না। এটি ব্যবসায়িক খাতের জন্য এবং বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।
দেশটিতে করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালে অর্থনীতিকে সমর্থন করার জন্য সুদের হার কমিয়েছিলো। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে চলতি বছর ইতিমধ্যে দু’বার সুদের হার বাড়িয়েছে। গত মার্চ মাসে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং তা মে মাসে ০.৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।