প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৬ মে ২০২২ ১১:২৯:০৩ | আপডেট: ২ years আগে
তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা সফর করছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর আগে শিলিগুড়ির কাছে চিকেন নেক পরিদর্শনে যান তিনি। এরই ধরাবাহিকতায় এবার তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার। এরই মধ্যে সেখানে কঠোর নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অমিত শাহের হেলিকপ্টার নামবে পাঁচ মাইলের হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে সড়কপথে তিনি যাবেন তিনবিঘা করিডোরে। খবর জি নিউজের।

তিনবিঘা করিডোর হলো একটি স্বতন্ত্র ভূমি যা ভারতের মালিকানাধীন তিনবিঘা জায়গার মধ্যে অবস্থিত। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমা ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত।

১৯৯২ সালে বাংলাদেশের দুই গ্রাম দহগ্রাম এবং আঙ্গারাপোতার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ভারতের তিন বিঘাতে একটি করিডোর স্থাপন করা হয়। এই করিডোর দিয়েই চলাফেরা করেন বাংলাদেশিরা। আগে ১২ ঘন্টা ওই করিডোর খোলা থাকলেও এখন ২৪ ঘন্টাই ওই করিডোর বাংলাদেশিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার কোচবিহারের তিনবিঘা করিডোরে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর। সেখানে বিএসএফ-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনবিঘা করিডর নিয়ে এদিন আলোচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অমিত শাহের সফরকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে তিনবিঘা করিডোরসহ গোটা মেখলিগঞ্জ ব্লককে। পাঁচ মাইলের হেলিপ্যাডেও মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট সংখ্যক বিএসএফ বাহিনী। পুলিসের পক্ষ থেকেও মোতায়েন করা হয়েছে হাজারেরও বেশি পুলিস বাহিনী। জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিস পিকেট।

তিনবিঘায় বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে তার। এরপর যাবেন সীমান্তের জিকাবাড়ি সীমা চৌকিতে। সেখানে খাওয়া দাওয়া করার কথা রয়েছে শাহর। তারপর আবার সড়কপথে হেলিপ্যাডে ফিরবেন তিনি।

দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত সরকার। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির কাছে চিকেন নেক পরিদর্শনে যান তিনি। তারপরই তিনবিঘা করিডরে যাওয়া যথেষ্ট বার্তাবহ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের দুই গ্রাম দহগ্রাম এবং আঙ্গারাপোতার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ভারতের তিন বিঘাতে একটি করিডোর স্থাপন করা হয়। এই করিডোর দিয়েই চলাফেরা করেন বাংলাদেশিরা। আগে ১২ ঘণ্টা ওই করিডোর খোলা থাকলেও এখন ২৪ ঘণ্টাই ওই করিডোর বাংলাদেশিদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।