ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার করতে এখনও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে মৃতের এ সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি হতে পারে মনে করছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস। খবর বিবিসি’র।
বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন উল্লেখ করে তিনটি উদ্ধারকারী দল বিবিসিকে জানিয়েছে, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মরদেহ উদ্ধারে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে খাদ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিরাপত্তা আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উদ্ধারকারী বলেন, ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ তুরস্কে অস্থিরতা উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত করেছে। লুটপাটের অভিযোগে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বন্দুকও জব্দ করা হয়েছে।
তবে কেউ আইন ভঙ্গ করলে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ব্যবস্থাপক রবার্ট হোল্ডেন বলেন, তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে ‘পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক ও ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠছে। ফলে জীবিতদের মধ্যে যারা গৃহহীন ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছেন তারা দ্বিতীয় আরেকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
তিনি বলেন, বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে ভয়াবহ অবস্থায় বসবাস করছে। আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন তারা। এ পরিস্থিতি আরেকটি বিপর্যয় ডেকে আনবে, যা ভূমিকম্পের চেয়েও আরও বেশি মানুষের ক্ষতি করবে।
গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন-
তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃত্যু ৫০ হাজার ছাড়াবে: জাতিসংঘ