বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোর প্রতিবাদে বিল দেয়া বন্ধ করে দেয়ায় তুরস্কের প্রধান বিরোধী দলের নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু বাস ভবন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দেশটির বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তার দুই মাসের বেশি সময়ের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। খবর ইউরো নিউজের।
গত ২২ এপ্রিল টুইট বার্তায় এ তথ্য জনান তিনি। বলেন, বিদ্যুতের উচ্চমূল্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় কর্তৃপক্ষ তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।’
কামাল কিলিকদারোগ্লু এ বছরের শুরুতে বিল বৃদ্ধি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিনি জানিয়েছেন যে তার বিদ্যুৎ লাইন ‘কাটা’ হয়েছে।
ডেইলি সাবাহ জানায়, জানুয়ারির শুরুতে বাড়তি চাহিদার বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের জন্য বিদ্যুতের দাম ১২৫% এবং কম চাহিদার পরিবারের জন্য প্রায় ৫০% দাম বৃদ্ধি করেছে তুরস্ক ।
টুইটারে প্রকাশিত এক ভিডিওতে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সব ধরনের জ্বালানির সুবিধা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। দামবৃদ্ধির কারণে যেসব নাগরিক জ্বালানির পয়সা জোগাড় করতে পারছেন না আমি তাদের হয়ে কথা বলছি৷
বিরোধী দলের এই নেতার দাবি, সারা দেশে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সরকার।
গত বছরের শেষের দিকে তুরস্কের অর্থনীতিতে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। এর প্রভাবে দেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ, বাসভাড়া, জ্বালানিসহ নানা ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে থাকে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দেশের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে লিরার পতন এবং মূল্যস্ফীতির ফলে তুরস্কের সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি হচ্ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।