তেল ও গ্যাস সম্পদের উত্তোলন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৬ হাজার কোটি ডলার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চায় ইরান। খবর পার্সটুডের।
বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জাতীয় তেল কোম্পানির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সরকার সাত বছরে বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঠিক করেছে যার প্রেক্ষাপটে ২০২৯ সালের মধ্যে প্রতিদিন ৫৭ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
ইরানের বর্তমান তেল উত্তোলনের ক্ষমতা দিনে ৩৮ লাখ ব্যারেল তবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে এই সক্ষমতা নেমে ২৬ লাখ ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে। ইরনা আরো জানিয়েছে, তেহরান প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোরও পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০২৯ সালের মধ্যে দেশটি প্রতিদিন ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করতে চায়।
আরও পড়ুন- ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে মোদির অভিনন্দন
ইরনা এক বিশ্লেষণে বলছে, ইরানের বর্তমান সরকার যদি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা ২০২৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে। এরইমধ্যে বর্তমান সরকার ইরানের তেল ও গ্যাস খাতে পাঁচ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন ইরান সফর করেন এবং এ সময় রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম ইরানের সঙ্গে চার হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি সই করে।
এছাড়া, চলতি মাসের প্রথম দিকে কনসোর্টিয়াম অব ইরানিয়ান ব্যাংকস এবং কয়েকটি জ্বালানি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হয় যার আওতায় ইরাক সীমান্তে ইরানের গ্যাসক্ষেত্রের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।