করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার শীর্ষে। অন্যদিকে বিশ্বের সকল দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
বৃহস্পতিবার জাপানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিকেই এশিয়ার ‘নিক্কেই কোভিড-১৯ রিকোভারি সূচক’ শীর্ষক একটি জরিপের ফলাফলে এ চিত্র উঠে আসে।
বিশ্বে করোনা মহামারি শুরু থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের ১২১টি দেশের করোনা মোকাবিলার এই পরিসংখ্যান নিক্কেই এশিয়ার সূচকে তুলে ধরা হয়েছে। সূচকে বিশ্বের রিকভারি ইনডেক্সে শীর্ষস্থানে রয়েছে কাতার। কাতারের পর তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কম্বোডিয়া ও রুয়ান্ডা। এরপরই তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
নিক্কেই এশিয়া বলছে, করোনা সংক্রমণ ব্যবস্থাপনা, করোনা প্রতিরোধী টিকাদান এবং এ সংক্রান্ত সামাজিক তৎপরতার ওপর ভিত্তি করে এই ‘নিক্কেই কোভিড-১৯ রিকভারি সূচক’ দেশ ও অঞ্চলের মূল্যায়ন করা হয়েছে। সূচকে যে দেশের অবস্থান যত ওপরে, করোনা মোকাবিলায় সে দেশের অবস্থান তত ভালো বলে বোঝা যাবে।
অন্যদের তুলনায় সংক্রমণের হার, মৃত্যুহার, টিকাদানের পরিস্থিতি এসব বিষয় বিবেচনায় ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে সূচকের শীর্ষে রয়েছে কাতার। একই পরিমাণ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ ছাড়া ৮৩ দশমিক ৫ ও ৮২ দশমিক ৫ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া ও রুয়ান্ডা। অন্যদিকে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে সূচকে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
সূচকে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের পরেই ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে নেপাল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এরপরে রয়েছে পাকিস্তান। বৈশ্বিকভাবে দেশটির অবস্থান ২৩তম এবং পয়েন্ট ৭০। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ ভারত ৬২ দশমিক ৫ পয়েন্ট নিয়ে ৭০তম অবস্থানে রয়েছে। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৩১তম।