শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইতোমধ্যেই মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিন দপ্তরের মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেয়ার পর তাকে দলীয় পদ থেকেও বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দলের মহাসচিব পদ ছাড়াও জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য, দলীয় মুখপাত্রের সম্পাদক, দলীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সম্পাদক এবং তৃণমূলের জাতীয় সহ-সম্পাদক পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে এদিন দুপুরে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসরানোর তথ্য জানানো হয়। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পাঁচ দিন পর তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
আরও পড়ুন- আগুন নিয়ে খেলবেন না, যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি
পশ্চিমবঙ্গে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন পার্থ। এগুলোর মধ্যে ছিল- শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাকে বরখাস্ত করার পর তিনটি মন্ত্রণালয়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এর আগে গত শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেপ্তার হন তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
এসএসসি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পার্থকে ২৭ ঘণ্টা ধরে জেরা করার পর শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুইটি ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা এবং পাঁচ কোটির সোনা ও গয়না উদ্ধার করেছে ইডি। তাছাড়াও পার্থ ও অর্পিতার নামে থাকা প্রচুর বাড়ি ও জমিরও হদিশ পাওয়া গেছে বলে সূত্র জানাচ্ছে।
বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার বান্ধবী অর্পিতা ছয় দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে চার দিন পার্থকে জেরা করতে পারেননি গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার থেকে তাকে জেরা শুরু করেন ইডি গোয়েন্দারা।