প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

ধর্ষণের শিকার হলেও আমেরিকার যে দেশে গর্ভপাত নিষিদ্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১ জুলাই ২০২২ ১০:৪১:৪৯ | আপডেট: ২ years আগে
ধর্ষণের শিকার হলেও আমেরিকার যে দেশে গর্ভপাত নিষিদ্ধ

মধ্য আমেরিকার বেশ কিছু দেশের আইনে গর্ভপাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব আইন এতোই কঠোর যে, কোনো নারী যদি ধর্ষণের শিকার বা নিষিদ্ধ যৌনসম্পর্কের ফলেও গর্ভবতী হন বা গর্ভাবস্থায় নারীর জীবন বিপন্নও হয়- তার পরও গর্ভপাত বেআইনি এ দেশগুলোতে। খবর বিবিসি বাংলার।

এল সালভাদরে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে মিসক্যারেজ বা অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাত হলেও নারীদের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গর্ভপাতের অধিকারের দাবিতে নানা সময় বিক্ষোভ হয়েছে দেশটিতে। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে সম্পতি গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট ৫০ বছর আগের একটি মামলার রায় পাল্টে দিয়ে গর্ভপাতের অধিকার দেয়া না দেয়ার এখতিয়ার দেশটির অঙ্গরাজ্য সকারের হাতে তুলে দিয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে আসছেন নারীরা।  

মধ্য আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র এল সালভাদর। ২০২১ সালে দেশটির জনসংখ্যা ৬.৮ মিলিয়ন ছিল।

জনসংখ্যার বিচারে মধ্য আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে গুয়াতেমালার পরেই এর অবস্থান। দুই আমেরিকার মহাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে এটি দ্বিতীয়। মূলত একটি গ্রামীণ দেশ হলেও বিংশ শতাব্দীতে এখানে ব্যাপক নগরায়ন ঘটে। দেশের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সান সালভাদর মেট্রোপলিটান এলাকায় বসবাস করেন। সান সালভাদর দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এল সালভাদর একটি স্পেনীয় শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ "ত্রাতা"। যিশুখ্রিস্টের সম্মানে দেশটির এই নামকরণ করা হয়।

দেশটির ভূপ্রকৃতির অধিকাংশই আগ্নেয় পর্বতসারি নিয়ে গঠিত। ফলে এখানে কফি চাষ খুবই সুবিধাজনক। বিগত এক শতাব্দী কফি রপ্তানি করে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কফি-ভিত্তিক অর্থনীতির ফলে দেশে একটি ক্ষুদ্র, ধনী শাসক শ্রেণী এবং বৃহত্তর, দরিদ্র, শ্রমিক শ্রেণীর সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৮০-র দশকের পুরোটা জুড়ে দেশটিতে একটি গৃহযুদ্ধ চলে এবং দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে দেশটি ধীরে ধীরে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করে।

ষোড়শ শতকে এল সালভাদোর স্প্যানিশ শাসনের অধীনে ছিল। মধ্য আমেরিকার দেশ হিসেবে ইহা ১৮২১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। দেশ হিসেবে ১৮৯৮ সালে আত্মপ্রকাশ করে।