চিকিৎসাবিজ্ঞানে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়ে আলোচনায় সুইডিশ জিনতত্ত্ববিদ বিজ্ঞানী সাভান্তে পাবো। ৪০ বছর আগে ঠিক একই বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন এসভান্তের বাবা কার্ল সিউন ডেটলফ বার্গস্ট্রমও।
সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এ বছরের বিজয়ী হিসেবে পাবোর নাম ঘোষণা করে। তার বাবা বার্গস্ট্রমও মেডিসিন বা ফিজিওলজি বিভাগেই নোবেল পেয়েছিলেন।
নোবেল ফাউন্ডেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাবো জানিয়েছেন, তার জীবনে সব থেকে বড় অনুপ্রেরণা তার মা কারিন পাবো। তিনি রসায়নবিদ ছিলেন। বাবার সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিলো না তার। মায়ের সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কেটেছে। যদিও বাবার কাজ বরাবর আকর্ষণ করেছে পাবোকে।
বার্গস্ট্রমের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানী পাবোর বাবা। এই বিষয়টি থেকেও একটি শিক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজয়ী।
পাবোর জন্ম সুইডেনের স্টকহোমে, ১৯৫৫ সালের ২০ এপ্রিল। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, বিলুপ্ত হোমিনদের জিনোম এবং মানবজাতির বিবর্তন বিষয়ে গবেষণার জন্য এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে পাবোকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, নোবেলের ইতিহাসে বাবা-ছেলের পুরস্কার জয় এই প্রথম নয়। ১৯২৫ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছিলেন মান সেগবান। ১৯৮১ সালে ওই একই বিভাগে নোবেল পান তার ছেলে কাই। ১৯৫৯ সালে মেডিসিন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন আর্থার কোরবার্গ। ২০০৬ সালে রসায়ন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন তার ছেলে রজার।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা একটি স্বর্ণপদক এবং ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (১ কোটি ১৪ লাখ ডলার) অর্থ পেয়ে থাকেন।