অবশেষে চাপের মুখে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে এখনই তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাচ্ছেন না, পার্টির পদ থেকে পদত্যাগের পর নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্ব পালন করবেন। দলের সমম্মেন হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ২-৫ অক্টোবর।
বিবিসি জানিয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন জনসন। ইনসাইডারের খবরে বলা হয়, সিনিয়র সরকারি সূত্র জানিয়েছে, জনসন পদত্যাগে রাজি।
সূত্রটি বলছে, জনসন কনজারভেটিভ পার্টির পদ থেকে পদত্যাগ করবেন, কিন্তু দলটির সম্মেলন আয়োজন ও নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন বরিস। চলতি বছরের ২-৫ অক্টোবর ওই সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
জনসন ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন। কিন্তু গত দুবছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেঙ্কারিততে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারান।
এসব কারণে জনসন গতমাসেই তার দলের এমপিদের এক আস্থা ভোটের মুখোমুখি হন। যদিও তিনি তাতে জয়ী হন।
এর মাঝেই ঘটে আরেক ঘটনা। দলের এক এমপি’র বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগকে ঘিরে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্ব এই সর্বশেষ সংকটে পড়েছে।
কনসারভেটিভ পার্টির এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি একজনের ওপর যৌন হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও কেন প্রধানমন্ত্রী জনসন মিস্টার পিঞ্চারকে ডেপুটি চীফ হুইপ নিয়োগ করেন- এটি নিয়েই মূলত তোপের মুখে পড়েন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই মন্ত্রীর নাটকীয় পদত্যাগ ব্রিটিশ রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এরপরই একের পর এক জুনিয়র মন্ত্রীরাও পদত্যাগ করতে থাকেন বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে।