ভয়াবহ ভূমিকম্পের পাঁচদিন পরও বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপে মিলছে জীবিত মানুষ। ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৭১ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে ২০ হাজার ৩১৮ জন এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৫৩ জন। খবর আল জাজিরার।
উভয় দেশের কর্মকর্তাদের বরাতে দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।
তারা জানায়, ভূমিকম্পের পাঁচদিন পরও বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপে মিলছে জীবিত মানুষ। ভূমিকম্পের ১০৪ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর কাহরামানমারাসের কিরিখান এলাকার একটি বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ওই নারীকে বের করে আনে উদ্ধারকর্মীরা।
উদ্ধারের পরপরই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম জয়নেপ কাহরামান। বয়স ৪০ বছর। বিশাল ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাকে উদ্ধার করে জার্মানি থেকে আসা একদল উদ্ধারকর্মী। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একটি স্ট্রেচারে করে তাকে বের করে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন- একজনকে জীবিত ও ৩ মরদেহ উদ্ধার করলো বাংলাদেশি দল
এর আগে, তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ৯৬ ঘণ্টা পর দেড় বছর বয়সী এক শিশুকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যদেরও জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এদিকে তুরস্কের ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল। গতকাল শুক্রবার রাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে পাঠানো এক বার্তায় তারা জানায়, ১৭ বছর বয়সী জীবিত এক কিশোরী ছাড়াও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল।
ধ্বংসযজ্ঞ থেকে জীবিত মানুষের সন্ধানে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের উদ্ধারকর্মীরা। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ৪৬ সদস্যের এই দল বর্তমানে ক্যাম্প করে উদ্ধার কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন আদিয়ামান শহরে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশেদ ইকবাল জানান, কাজ করতে এসেই সকাল বেলা স্থানীয়দের সহযোগিতায় একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলমান রয়েছে।