নানা নাটকীয়তা শেষে শপথ নিয়েছে পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য। শপথ পাঠ করেন ৩১ জন মন্ত্রী, ৩ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ জন উপদেষ্টা। খবর ডনের।
মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্সি নামে পরিচিত হোয়াইট মার্বেল প্যালেসে ৩৪ জন মন্ত্রীসহ ৩ জন উপদেষ্টাকে শপথবাক্য পাঠ করান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সাদিক সানজরানি।
সোমবার মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি আইনপ্রণেতাদের শপথ গ্রহণ করাতে অপারগতা জানান। ফলে আজ স্থানীয় সময় বেলা ১১টা পর্যন্ত শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত করতে বাধ্য হয় সরকার।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতি অনুযায়ী পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) খাজা মুহাম্মদ আসিফ, আহসান ইকবাল, রানা সানাউল্লাহ, সরদার আয়াজ সাদিক, রানা তানভির হোসেইন, খুররম দস্তগীর খান, মরিয়াম আওরঙ্গজেব, খাজা সাদ রফিক, মিফতাহ ইসমাইল, জাভেদ লতিফ, রিয়াজ হোসেইন পিরজাদা, মুর্তজা জাভেদ আব্বাসি ও আজম নাজির তারার ফেডারেল মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) থেকে সৈয়দ খুরশীদ শাহ, সৈয়দ নাভিদ কামার, শেরি রহমান, আবদুল কাদির প্যাটেল, শাজিয়া মারি, সৈয়দ মুর্তজা মাহমুদ, সাজিদ হোসেইন তুরি, ইহসান উর রহমান মাজারি ও আবিদ হোসেইন ফেডারেল মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তবে গুঞ্জন থাকলেও পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেননি।
মুত্তাহিদা মজলিস-ই-আমলের আসাদ মাহমুদ, আবদুল ওয়াসাই ও আবদুল শাকুর, জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের সিনেটর মুহাম্মদ তালহা মাহমুদ, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের আমিনুল হক ও ফয়সাল সাবজাওয়ারি, বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির মুহাম্মদ ইসরার তারিন, জমহুরি ওয়াতান পার্টির নবাবজাদা শাজেইন বুগতি এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদের তারিক বশির চিমা ফেডারেল মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিশিষ্ট নেতাদের মধ্যে প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ দলের সদস্য খাজা মোহাম্মদ আসিফ রয়েছেন। এছাড়াও আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির দলের খুরশীদ শাহ ও শেরি রেহমানসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ।
এদিকে, ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানকে রাজনৈতিক নাটকীয়তা ও সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। কিন্তু ইমরান খান জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা থেকে তাকে অপসারণের জন্য করা ষড়যন্ত্রে ওয়াশিংটন তার বিরোধী পক্ষকে সাহায্য করছে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন।
বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে ৯ এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার। এরপর ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন বিরোধীদলীয় নেতা ও পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফ। আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।