এক মাসেরও বেশি সময় পলাতক থাকার পর অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি আন্দোলনের নেতা অমৃতপাল সিং। রোববার ভোরে পাঞ্জাবের মোগা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারর করতে বিশাল অভিযান শুরু করেছিল পাঞ্জাব পুলিশ। বেশ কয়েকবার হাতের নাগালে এলেও, শেষ মুহূর্তে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বারংবার পালিয়ে যান অমৃতপাল। গত সপ্তাহে বিমানবন্দর থেকে তার স্ত্রীকেও আটক করে পুলিশ। এরপরই মোগা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং।
এক টুইট বার্তায় অমৃতপাল সিংহকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঞ্জাব পুলিশ জনগণকে শান্তি বজায় রাখতে এবং ভুয়া খবর না ছড়াতে আহ্বান জানিয়েছে।
গত ১৮ মার্চ থেকে‘ওয়ারিস দা পাঞ্জাব’ গোষ্ঠীর প্রধান অমৃতপাল সিংয়ের খোঁজে পাঞ্জাব ছাড়াও হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশসহ আশপাশের রাজ্যগুলোতেও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। চার জেলার পুলিশের দল রাজ্যজুড়ে ও আন্তঃরাজ্য সীমান্তগুলিতে তল্লাশি চালায়, কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলেনি অমৃতপালের।
অভিযোগ রয়েছে, অমৃতসরের কাছে অঞ্জলা থানার লকআপে বন্দি সঙ্গীকে ছাড়ানোর জন্য কয়েকশ লোকজনকে নিয়ে ১৮ মার্চ হামলা চালান অমৃতপাল ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী পপ্পলপ্রীত সিংহ। ওই ঘটনার পর থেকেই দু’জন পলাতক ছিলেন। তবে ১০ এপ্রিল পপ্পলপ্রীতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়াও, অমৃতপালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বৈষম্য ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশকে আক্রমণ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ৩০ বছর বয়সী অমৃতপাল সিং শিখদের জন্য একটি পৃথক মাতৃভূমির দাবিতে খালিস্তানি আন্দোলনের একজন কড়া সমর্থক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অমৃতপালকে আসামের ডিব্রুগড়ের জেলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। সেখানে তার অন্য সহকারীদেরও রাখা হয়েছে। অমৃতপালের দলের আরও আট সদস্যকে আসামের কারাগারে রাখা হয়েছে।