পাপুয়া নিউগিনিতে উপজাতিদের সহিংসতায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংঘর্ষে এই হতাহত হয় বলে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে দেশটির পুলিশ।
রয়্যাল পাপুয়া নিউ গিনির কনস্টাবুলারির ভারপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট জর্জ কাকাস অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন, একটি উপজাতি, তাদের মিত্র ও ভাড়াটে সৈন্যরা রবিবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের এনগা প্রদেশে প্রতিবেশী একটি উপজাতির ওপর হামলা চালায়।
জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়া আহতদের মধ্যে আরও লাশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
এবিসিকে কাকাস বলেন, 'এই উপজাতিদের হত্যা করা হয়েছে সারা গ্রামাঞ্চলে এমনকি ঝোপঝাড় জুড়েও।’
যুদ্ধক্ষেত্র, রাস্তা ও নদীর পাড় থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ট্রাকে বোঝাই করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাকাস বলেন, কর্তৃপক্ষ এখনও 'গুলিবিদ্ধ, আহত এবং ঝোপের মধ্যে পালিয়ে যাওয়াদের' গণনা করছে।
তিনি বলেন, 'আমরা ধারণা করছি এ সংখ্যা ৬০ বা ৬৫ পর্যন্ত হতে পারে।’
কাকাস বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে এ ধরনের সহিংসতায় এটি সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা হতে পারে। কারণ এই এলাকায় খুব কম রাস্তা রয়েছে এবং বেশিরভাগ বাসিন্দাই জীবীকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
গণহত্যার বিষয়ে রাজধানী পোর্ট মোর্সবির পুলিশের কাছে অ্যাসোসিয়েটস প্রেস (এপি) জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
পাপুয়া নিউ গিনি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশে ৮০০ ভাষাসহ ১ কোটি মানুষের একটি বৈচিত্র্যময়, উন্নয়নশীল দেশ।
চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্ক চাইছে বলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা তার সরকারের জন্য ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, তার সরকার পাপুয়া নিউ গিনিকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। দেশটি অস্ট্রেলিয়ার নিকটতম প্রতিবেশী এবং অস্ট্রেলিয়ার একক বৃহত্তম বৈদেশিক সহায়তা গ্রহীতা।
আলবানিজ বলেন, 'পাপুয়া নিউগিনি থেকে যে খবর এসেছে তা খুবই বিরক্তিকর।’