পোষ্য ছাগলের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি যুবতী। সেই শোকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। পোষ্য ছাগলের প্রতি যুবতীর এতটাই ভালোবাসা দেখে হতবাক স্থানীয়রা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নারায়নপুর গ্রামের।
স্থানীয় এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীর নাম দুলালী মালিক (২৪)। দিন কয়েক আগে বাড়ির একটি পোষ্য ছাগলের অসুখে মৃত্যু হয়। তারপর থেকে যুবতী শোকে কান্নাকাটি করছিলেন। বেশ কয়েকদিন তিনি ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করেননি। রোজকার মতো দুই বোন শনিবার ঘরে শুয়েছিল। কিন্তু আজ সকালে ঘরের পিছনে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। কীভাবে ঘটনা ঘটল তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। তাদের দাবি, মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দুলালীর পায়ে দড়ি বাঁধা ছিল। তাতে সন্দেহ হচ্ছে পরিবারের। এটি আদৌও আত্মহত্যা নাকি খুন! তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা।
মৃতের দাদা অরূপ মালিক জানান, ‘পোষ্য ছাগলের মৃত্যুর পর বোন কয়েকদিন ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করলেও গতকাল থেকে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছে। আমি কাজে গিয়েছিলাম। কাজ থেকে ফিরে এসে দেখি এরকম কাণ্ড।’ তবে পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হলেও পরিবারের দাবি তাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। এ বিষয়ে জামালপুর থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত যুবতীকে খুন করা হয়েছে এই ধরনের কোনও তথ্য বা প্রমাণ মেলেনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যুবতি আত্মঘাতি হয়েছেন। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে আসল ঘটনা স্পষ্ট হবে।
উল্লেখ্য, একইভাবে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় আত্মঘাতী হয়েছিল এক নাবালিকা। সে ক্ষেত্রেও ছাগলের মৃত্যুর শোকে ওই নাবালিকা আত্মঘাতী হয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল জামালপুরে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস