দক্ষিণ ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস এবং বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রাক্তন বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলাদের দ্বারা পরিচালিত পাঁচ-প্রদেশের মুসলিম স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগুইব সিনারিম্বো বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত মাগুইন্দানাও প্রদেশের তিনটি শহরে কমপক্ষে ৪২ জন বন্যার জলে ভেসে ডুবে গেছে বা ধ্বংসাবশেষে ভরা কাদায় চাপা পড়েছে।
সরকারের দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানায়, শনিবার ভোরে পূর্বাঞ্চলীয় ক্যামারিনিস সুর প্রদেশে আছড়ে পড়া গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় নালগের আঘাতে অন্য পাঁচজন মারা যান।
আকস্মিক বন্যা ও কাদা ধসে বেঁচে যাওয়া কুসিওং গ্রামবাসীদের উদ্ধৃতি দিয়ে সিনারিম্বো টেলিফোনে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ ঝড়ের প্রভাব হচ্ছে বৃষ্টির পানি, পাথর ও গাছ মিশ্রিত কাদা মাটির ধস যা মাগুইন্দানাওয়ের দাতু ওডিন সিনসুয়াট শহরের কুসিওং নামক উপজাতীয় গ্রামে ৬০ জনের মতো মানুষসহ কয়েক ডজন বাড়িকে চাপা দেয়।
তিনি বলেন, কুসিওংয়ে কোদাল ব্যবহার করে উদ্ধারকারীরা শুক্রবার ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন, যাদের বেশিরভাগই শিশু ছিল।
সিনারিম্বো বলেন, এই সম্প্রদায় থেকেই আমাদের কাজ শুরু হবে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ জোরদার করতে সেনা, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকসহ ভারী সরঞ্জাম এবং আরও উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় আঘাত হানে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত। অর্থাৎ এটি প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশ বরাবর এমন একটি অঞ্চল, যেখানে অনেক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প ঘটে। যার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশ হয়ে উঠেছে।