আবারও বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকার শীর্ষে ওঠে এসেছেন স্পেসএক্স ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বুধবার ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আরনল্টের এলভিএমএইচের শেয়ারের মূল্য ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে যাওয়ার পরই আরনল্টকে পেছনে ফেলে মাস্ক শীর্ষে ওঠে আসেন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন ব্যবসা সাময়িকী ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে দেখা যায়, ১৯২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে বিশ্বের ধনীদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন মাস্ক। অন্যদিকে ১৮৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন আরনল্ট।
এছাড়াও অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস তৃতীয় এবং মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। তাদের সম্পদেরে পরিমাণ যথাক্রমে ১৪৪ ও ১২৫ বিলিয়ন ডলার।
দীর্ঘ সময় ধনীদের তালিকার শীর্ষে থাকা মাস্ককে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয়স্থানে নামিয়ে দেন আরনল্ট। মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুটা সমস্যায় পড়লেও বিলাসী পণ্যে মানুষের আগ্রহ কমেনি। আরনল্টের প্রতিষ্ঠিত এলভিএমএইচের অধীনে রয়েছে লুইস ভুইটন, ফেন্ডি এবং হেনেসির মতো কোম্পানিগুলো। এসব বিলাসী কোম্পানির বেঁচা-বিক্রি ভালো থাকায় আরনল্টের সম্পত্তিও বেড়েছিল।
কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতি হওয়ায় এখন বিলাসী পণ্যের ওপর মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটাই কম।
আরনল্টের এলভিএমএইচের শেয়ার গত এপ্রিল থেকে প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। আরনল্টকে এমনও দিন দেখতে হয়েছে— যেদিন মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তার মোট সম্পত্তি থেকে ১১ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়ে গেছে।
অপরদিকে এ বছর এখন পর্যন্ত মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৫৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। মূলত টেসলার কারণেই তার সম্পদ বেড়েছে।