রাশিয়া বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেছে। হামলা চালানোর পর দ্বিতীয় দিনেই দেশটির রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের সেনারা তাদের প্রতিহত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ক্রান্তিকালে কিয়েভের রাস্তায় বন্দকু হাতে নেমে পড়েছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি পেট্রো পোরশেনকো। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেরিটোরিয়াল ডিফেন্সের কর্মীরাও রয়েছেন। রুশ বাহিনী তাদের খুব কাছাকাছি রয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পেট্রো পোরশেনকো বলেছেন, “পুতিন আমাদের হত্যা করার জন্য ‘পাগল’ হয়ে উঠেছে।” সাবেক এই প্রেসিডেন্ট জানান, তাদের কাছে দুটি মেশিনগান রয়েছে। যেগুলো নিয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন।
রাশিয়ার শক্তির কাছে অনেকটা অসহায় ইউক্রেন। যে কারণে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকেই বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তিনি হতাশার কথাই জানিয়েছেন, কারণ দুঃসময়ে সেভাবে কাউকে পাশে পাচ্ছেন না তিনি। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘ক্ষমতাধরেরা শুধু দেখছে আর আমরা একাই লড়ছি।’
এদিকে, রুশ বাহিনী ঢুকে পড়ায় যেকোনো সময় কিয়েভের পতন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সামরিক জোট ন্যাটোসহ অনেক দেশ রাশিয়ার হামলার কঠোর সমালোচনা করছে। মস্কোর ওপর অবরোধও আরোপ করছে। তবে জেলেনস্কির প্রত্যাশা ছিল হামলার শিকার হলে সামরিক সহায়তা পাবেন তাদের কাছ থেকে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নতুন করে রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের কথা বললেও সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম কিংবা সেনা পাঠানোর কথা বলেনি।
সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনো পরকিল্পনা নেই।
ইউক্রেনে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। বিবিসি জানিয়েছে, রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এই লড়াই শুরু হওয়ার পর ৪৫০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে।