সংকট কাটাতে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দাতা সংস্থাটির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আইএমএফের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত তারা।
আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশ তাদের নতুন চালু করা রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির আওতায় ঋণ নিতে আগ্রহী ছিল। তা ছাড়া আইএমএফের আরেকটি কর্মসূচির আওতায় ঋণের বিষয়ে আলোচনার জন্যও অনুরোধ করেছে।
আইএমএফের এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলছে, আইএমএফ বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তহবিলের বিদ্যমান নীতি ও প্রক্রিয়ার আলোকে কর্মসূচি প্রণয়নে কর্মকর্তারা (আইএমএফের) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন। আলোচনায় যে কর্মসূচি ঠিক হবে, সে অনুযায়ী সহায়তার পরিমাণ নির্ধারিত হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আইএমএফ কী শর্তে ঋণ দিতে চাইছে, সেটা দেখতে হবে। তাদের ইতিবাচক দেখা গেলে বিবেচনা করা হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। এ পরিস্থিতিতে দেশে বিদু্যুৎ উৎপাদন কমানোসহ নানা পদক্ষেপ নিয়ে জ্বালানি তেল ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। খরচ কমাতে বিদেশি ফল, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন সামগ্রী আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকারের খরচ কমাতেও নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
এই পরিস্থিতিতে ঋণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার আইএমএফকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, সময় একটু খারাপ (ক্রিটিক্যাল টাইম) বলে জরুরি ভিত্তিতে লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখা ও বাজেট সহায়তা বাবদ বাংলাদেশের অর্থের দরকার।
রয়টার্স বলছে, কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় বেড়েছে এবং তাতে লেনদেন ভারসাম্যে চাপ পড়েছে।