ইরানের তেল বিক্রি ক্রমশই বাড়ছে, দেশটির সরকারের তরফ থেকে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। যদিও, ইরানের কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে আমদানিকারক দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এমন একটি সময়ে তিনি এ আহ্বান জানালেন, যখন অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরান ও পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পরমাণু সমঝোতা নিয়ে সপ্তম রাউন্ডের আলোচনা হতে যাচ্ছে।
ইরানের সংবাদ মাধ্যম পারস টুডের খবরে বলা হয়, এবারের আলোচনায় মার্কিন অবৈধ ও একতরফা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর জোর দেবে ইরান।
এদিকে, ইরানের জাতীয় সংসদের জ্বালানী বিষয়ক কমিশনের সদস্য সাইয়্যেদ মুসা মোসাভি বলেছেন, দেশটির তেল বিক্রির পরিমাণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও, তেল বিক্রি বাড়াতে নতুন পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। এতে আগামী দিনগুলোতে তেল রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তেল কেনা প্রসঙ্গে জো বাইডেন বলেন, বিশ্বব্যাপী তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। ফলে যেসব দেশ ইরান থেকে তেল কিনছে তারা তা বন্ধ করতে পারে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার জন্য বিশ্বের কাছে প্রতি ছয় মাস অন্তর আমেরিকাকে এই আশ্বাস দিতে হয় যে, তেলের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে এবং ইরান থেকে তেল না কিনলে কোনো সমস্যা হবে না।
বারাক ওবামার শাসনামলে ২০১২ সালে ইরানের তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আমেরিকা। বিশ্বের বহু দেশ বাধ্য হয়ে এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তবে কিছুদিনের মধ্যেই তারা তেল সংকটে পড়ে।
এমনই প্রেক্ষাপটে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, চীন, ইতালি এবং গ্রিসের মতো দেশ ইরান থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে মার্কিন সরকার এসব দেশকে তেল কেনার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছাড় দেয়।