উচ্চ নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ইরাকের বাগদাদে পার্লামেন্ট ভবনে শত শত বিক্ষোভকারী প্রবেশ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই ইরাকি শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদরের অনুসারী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়ার জেরে তারা বিক্ষোভ করেছেন। খবর বিবিসি’র।
বুধবার সুরক্ষিত ‘গ্রিন জোনে’র নিরাপত্তা ভেদ করে ঢুকে পড়ে শত শত মানুষ।
বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা ‘গ্রিন জোনে’ ঢুকে পড়লে টিয়ার গ্যাস, জলকামান দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ, তবে ঠেকানো যায়নি বিক্ষোভকারীদের। এক পর্যায়ে পার্লামেন্ট ভবনের দেয়াল ও গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীরা।
এ সময় অধিবেশন কক্ষে এমপিদের আসনে বসে ছবি তোলেন অনেকে। সে সময় কোনো আইনপ্রণেতা পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন না।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা আল-কাদিমি পার্লামেন্ট ভবনে হামলার পর বিক্ষোভকারীদের গ্রিন জোন থেকে অবিলম্বে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি মিশনগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার যেকোনো ক্ষতি রোধ করবে’ নিরাপত্তা বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপি’কে জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে বিক্ষোভকারীদের থামিয়েছিল বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু তা উপেক্ষা করে তারা পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে ও হামলা চালায়। পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে অনেক বিক্ষোভকারীকে গান, নাচ ও শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে আল-সদরের রাজনৈতিক জোট গত অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক আসন জয় পায়। কিন্তু ভোটের পরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে তিনি ক্ষমতায় বসতে পারেননি।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে প্রধানমন্ত্রীর পদে ইরান-সমর্থিত দলগুলোর মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। তিনি ইরাকের সাবেক একজন মন্ত্রী এবং সাবেক প্রাদেশিক গভর্নর। তবে বিক্ষোভকারীরা মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির এই প্রার্থীতার বিরোধিতা করছেন।