প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স, গ্রেপ্তার দেড় শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ জুন ২০২৩ ১৫:৫৪:৪৭ | আপডেট: ১ year আগে
বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স, গ্রেপ্তার দেড় শতাধিক

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশে গাড়ি থামাতে ব্যর্থ হওয়া ১৭ বছর বয়সী এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে ফরাসি পুলিশ। এরপর থেকে শুরু হয়েছে ফ্রান্সজুড়ে আন্দোলন। বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী ১৫০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ২৯ জুন বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয় মঙ্গলবার প্যারিসের ন্যান্টেরে এলাকায় সড়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এক কিশোর গাড়িচালককে দাঁড় করায় পুলিশ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসার একটি গাড়ির চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছেন। এরপরই একটি গুলির শব্দ শোনা যায়।

বার্তা সংস্থা এএফপি কর্তৃক যাচাইকৃত ফুটেজে দু’পুলিশ কর্মকর্তাকে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। একজন তার অস্ত্রটি জানালা দিয়ে ড্রাইভারের দিকে তাক করে এবং চালক গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশকে গুলি করতে দেখা যায়।

ঘটনার পর পরই উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকটিকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সে মারা যায়।

এর পরপরই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন স্থানীয়রা। পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বাসস্টপ ভাঙচুর ও পুলিশের দিকে আতশবাজি নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। জবাবে পুলিশও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ন্যান্টেরের প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, গাড়িচালক কিশোরের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন বলেছেন, জড়িত দু’পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা দৃশ্যটি ‘অত্যন্ত জঘন্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পুলিশ এক বিবৃতিতে দাবি করে, ওই দু’পুলিশ কর্মকর্তার জীবন হুমকির মুখে ছিল। কারণ অভিযুক্ত কিশোর তাদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।

তবে পুলিশের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তিন আইনজীবীর একটি দল। আইনজীবী ইয়াসিন বোজরোউ বলেন, ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, একজন পুলিশ এক তরুণকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করছেন। এটি বৈধ প্রতিরক্ষা থেকে অনেক দূরের বিষয়। তবু সব পক্ষকেই তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।