বিদেশিদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে একটি প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রাম (পিভিআইপি) চালু করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন জানিয়েছেন, ‘বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস’ প্রোগ্রামটির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ২০ বছর পর্যন্ত থাকা যাবে।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণার কথা বলা হয়েছে।
মালয়েশিয়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, এই প্রোগ্রামটির জন্য আগামী ১ অক্টোবর থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে দেশটির সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ ‘বিনিয়োগের মাধ্যমে বসবাস’ প্রোগ্রামটি চালু করা হয়েছে।
হামজাহ জয়নুদ্দিন জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও যেসব দেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সংযোগ নেই সেসব দেশ বাদে সব দেশের ব্যবসায়িক টাইকুনদের পিভিআইপিয়ের জন্য আবেদন করতে স্বাগত জানানো হচ্ছে।
বার্নামা প্রতিবেদন অনুসারে, এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারীরা ২০ বছর পর্যন্ত ভিসা অনুমোদন, পড়ালেখার অনুমতি, আবাসন, বাণিজ্যিক বা শিল্পখাতে ব্যবহারের জন্য স্থাপনা ক্রয়ের অনুমতি এবং অনুমোদিত শিল্পে সরাসরি বিনিয়োগ করার মতো অনেকগুলো সুবিধা পাবেন।
বৃহস্পতিবার দেশটির পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রোগ্রামের অংশগ্রহণকারীদের দেশের নিয়ম মেনে কাজ করার এবং বৈধ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে।’
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অভিবাসন মহাপরিচালক খায়রুল জাইমি দাউদ।
বার্নামা হামজাহকে উদ্ধৃত করে বলেছে, সব বয়সের অংশগ্রহণকারীরা যারা প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার রিঙ্গিত (আট হাজার ৯২০ মার্কিন ডলার) অথবা বার্ষিক চার লাখ ৮০ হাজার রিঙ্গিত (এক লাখ সাত হাজার ৪৭ মার্কিন ডলার) অফশোর আয়ের নথি দেখাতে পারবে তারেই এই প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে।
অন্যান্য যেগ্যতার মধ্যে রয়েছে- একটি স্থায়ী সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট যার আমানত কমপক্ষে ১০ লাখ রিঙ্গিত এবং মূল আমানত উত্তোলনের ওপর এক বছরের বাধ্যবাধকতা থাকবে। এর পরে, কেউ বাড়ি কেনা, চিকিৎসা খরচ বা শিক্ষাগত কাজের জন্য ওই অর্থের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত উঠাতে পারবে।
হামজাহ বলেন, তার মন্ত্রণালয় প্রোগ্রামের প্রথম বছরে কমপক্ষে এক হাজার অংশগ্রহণকারীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা মালয়েশিয়ার জন্য আনুমানিক ২০ কোটি রিঙ্গিত রাজস্ব এবং ১০০ কোটি স্থায়ী সঞ্চয় আনবে।