করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে আরও সাড়ে চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যা গত দিনের তুলনায় কম। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৬ লাখ ১১ হাজার ৯৬৮ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৫০ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৭ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২২ কোটি ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৪০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ১৭৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ হাজার ১৬৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জনের।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ অনেকেটা কমে এসেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ১৬৫ জন এবং মারা গেছেন ১২৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৭৫ হাজার ২১৮ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাজ্যে গত একদিনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ৩০৫ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৩ লাখ ১ হাজার ৯০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০৫ জন মারা গেছেন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৭ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ১১৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৪৮৪ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৫৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৪৮ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬১৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।