বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৫ হাজার ২২০ জন। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪৭ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬২০ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৫১ লাখ ২১ হাজার ৭৫৩ জনের। করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২৩ কোটি ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৫৬৩ জন এবং মারা গেছেন ৪১৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ২২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬৮৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২১১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৪২০ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯১ লাখ ৯ হাজার ৯৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৭ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৩ জন এবং মারা গেছেন ১৬৭ জন। এছাড়া একই সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৭০৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭৯৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১১ হাজার ৩৮৪ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।