মহামারি করোনায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একদিনে প্রাণহানির তালিকায় যুক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৯২ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২৬ হাজার।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৩ কোটি ৮ লাখ ৮১ হাজার ৩৫৪ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৮ জনের।
আর করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২০ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ৭৩৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৩১৭ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ২২২ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার ৫৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪২ জন মারা গেছেন।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় মোট আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৩৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৭৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৫৭ জনের।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৮১৭ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৭০৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬২৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৮১৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৫২১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৮০ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭৯ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৯৫৭ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮০ জন।